As You Like It সম্পূর্ণ গল্প বাংলায় পড়ুন

As you like it 

william shakespeare


আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই মজার একটি গল্প শেয়ার করবো এই গল্পটির নাম হল AS YOU LIKE IT অর্থাৎ তুমি যা পছন্দ করো গল্পটি লিখেছেন William Shakespeare যিনি একজন খুবই ট্যালেন্টেড লেখক হিসেবে পরিচিত। William Shakespeare কে একজন পেশা বাদী এবং ব্যস্ত লেখক বলা হয়ে থাকে যাইহোক অনেক প্যাচাল পারলাম চলুন আপনাদেরকে সরাসরি গল্পে নিয়ে যাই ;


এই গল্পে আমরা কিছু চমৎকার ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারব যেখানে থাকবে অসাধারণ কমেডি ও সুন্দর রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প যেটাকে আমরা ইংরেজি ভাষায় লাভ এট ফার্স্ট সাইট বলে থাকি। হ্যাঁ এমনই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

গল্পের প্রথম পর্ব

তো প্রথমে আমরা গল্পটি কোথায় শুরু হয়েছিল  গল্পটি যেখানে শুরু হয় সেই দেশটির নাম ছিল ফ্রান্স  এই গল্পটি শুরু হবে ফ্রান্সের ই এক রাজ পরিবারকে নিয়ে আর ফ্রান্সের সাধারণত রাজাকে ডিউক বলা হয়ে থাকে তো

তো প্রথমে আমরা গল্পটি কোথায় শুরু হয়েছিল  গল্পটি যেখানে শুরু হয় সেই দেশটির নাম ছিল ফ্রান্স  এই গল্পটি শুরু হবে ফ্রান্সের ই এক রাজ পরিবারকে নিয়ে আর ফ্রান্সের সাধারণত রাজাকে ডিউক বলা হয়ে থাকে তো

গল্পের প্রথম দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই রোলান্ড ডি বয়েজ নামে জমিদার ছিল সেই জমিদারের তিন ছেলে ছিল যার মধ্যে প্রথম ছেলের নাম অলিভার দ্বিতীয় ছেলের নাম জ্যাকওয়েস এবং তৃতীয় ছেলের নাম অর্থাৎ সব থেকে ছোট সন্তানের নাম ছিল অরলান্ডো। গল্পে আমরা দেখতে পাই যে নিজের ভাই হওয়া সত্বেও এদের তিনজনের মধ্যে তেমন কোন ভ্রাতৃত্ববোধ ছিল না এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন কেন ?

সম্পত্তির লোভে অলিভারের অবিচার


সহজ ব্যাপার সম্পত্তির জন্য এরা তিনজন একজন আরেকজনকে নিজেদের প্রতিযোগী মনে করতো। এই তিন ভাইয়ের মধ্যে সবথেকে খারাপ ও ষড়যন্ত্রকারী ছিল অলিভার অর্থাৎ বড় ছেলে বাবার সম্পত্তির ওপর তার প্রচন্ড লোভ ছিল যার কারণে সে তার ছোট ভাইকে দেখতে পারত না এবং তার ঠিকমতো দেখাশোনা করত না পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার কারণে সব সুবিধা সে একাই ভোগ করত ছোট ভাইদের উপর যে বড় ভাইয়ের একটা দায়িত্ব আছে তাকে কখনোই পালন করতো না।

অলিভারের অনায়ের বিরুদ্ধে অরলান্ডোর প্রতিবাদ 


এভাবে চলতে চলতে একসময় তার ছোট ভাই তার ওপর চরমভাবে খেপে যায় এবং প্রতিবাদ করে ওঠে যা অলিভারের একদমই পছন্দ হয় না শুরু থেকেই অলিভার তার ছোট ভাইকে দেখতে পারত না।


আর যখন সে দেখল তার ছোট ভাই এখন আর চুপ করে বসে থাকছে না তখন সে মনে মনে অরলান্ডোর ওপর আরও রেগে গেলো।

চার্লস এবং অরলান্ডোর কুস্তি প্রতিযোগিতা 

এমন চলতে চলতে হঠাৎ একদিন চার্লস নামে এক পালোয়ান ছিল যে জানতে পারলো অরলান্ডো নামে একজন তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তখন সে সরাসরি অরল্যান্ডের বড় ভাই অলিভারের কাছে এসে বলল তোমার ভাইকে সাবধান করে দাও সে নাকি আমার সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায় তোমার ভাইয়ের যদি বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেন আমার সাথে লড়াই করার চিন্তা মাথাতেও না আনে।


আসল কথা হলো চার্লস নামে এই পালোয়ান টি ভয় পাচ্ছিল যে আয়ারল্যান্ডে যদি তাকে হারিয়ে দেয় তাহলে তার মান সম্মান সব হারিয়ে যাবে এবং সবার মনে তার প্রতি যে ভয় ছিল সেটাও চলে যাবে আর সেই সম্মান বাঁচানোর জন্য উল্টো সেই অরল্যান্ডের বড় ভাইয়ের কাছে এসে আজাইরা হুমকি দিয়ে গেলো যেটাকে আমরা বাংলায় ফাঁপর নেওয়া বলে থাকি আর কি !

 যাই হোক এরপর কিছু মজার ব্যাপার ঘটলো সেটা হচ্ছে অলিভার তো চায় অরলান্ডো যেন তার রাস্তা থেকে সরে যায় আর এদিকে চার্লস নামে ওই পালোয়ান বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গেছে যে অরলান্ডো যদি তার সাথে লড়াই করে তাহলে সে তাকে লড়াইয়ের ময়দানেই প্রাণ মেরে ফেলবে। এবার অলিভার মনে মনে ভাবলো যে , অরলান্ডো যদি চার্লসের সাথে লড়াই করে তাহলে নির্ঘাত মারা পড়বে আর এতে তার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না। অরলান্ডোকে আমার নিজ হাতে মারতেও হবে না আবার আমার রাস্তাও পরিস্কার হয়ে যাবে।

আর হ্যাঁ আপনাদের তো বলাই হয়নি যে গল্পটি আপনারা পড়ছেন এই গল্পের মূল চরিত্র হলো অরল্যান্ডো অর্থাৎ এই গল্পের নায়ক। যাই হোক নায়ক সম্পর্কে তো একটু জানলেন নায়িকা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করছে না ? জানি জানি সবারই ইচ্ছা করছে। তাহলে দেরি কিসের চলুন দেখে আসি আমাদের নায়িকা কি করছে না মানে অরলান্ডোর নায়িকা আর কি !

গল্পে নায়িকা ও নায়কের পরিচয় 

আমাদের গল্পের নায়ক যখন নিজেরই ভাইয়ের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত তখন আমাদের গল্পের নায়িকা ঘরে বসে তার চাচাতো বোনের সাথে গল্প করছিলো। এই গল্পের নায়িকার নাম রোজালিন যে ছিল গোলাপের মতো সুন্দর অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন নায়িকা দেখতে হেব্বি সুন্দরী ছিলো। আর তার চাচাতো বোনের নাম ছিল সেলিয়া।রোজালিনের পিতার নাম ছিল ডিউক সিনিয়র আর সেলিয়ার পিতার নাম ছিল ডিউক ফ্রেডরিক।


এই গল্পে নায়ক যেমন অর্থাৎ অরলান্ডো যেমন তার বড় ভাইয়ের খারাপ মন মানসিকতা ও ষড়যন্ত্রের শিকার ঠিক তেমনি এই গল্পের নায়িকা অর্থাৎ রোজালিন তার চাচা ডিউক ফ্রেডরিকের ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন রোজালিনের চাচা আবার কি করেছে ?

যা করেছে শুনলে অবাক হবেন নিজেরই বড় ভাইকে অর্থাৎ ডিউক সিনিয়রকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তার সিংহাসন দখল করেছে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরে রোজালিনের পিতা অর্থাৎ ডিউক সিনিয়র তার দলবল নিয়ে ফরেস্ট অফ আরডেন নামক এক জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোজালীনকে ফ্রেডরিকের বাসায় রাখার কারন 

আপনাদের মনে এখন আবার প্রশ্ন আসবে যে বড় ভাইকে তাড়িয়ে দিলে তার মেয়েকে কেন বাসায় রেখে দিয়েছে রোজালিনকে তার বাসায় রেখে দেয়ার একমাত্র কারণ হলো তার নিজের মেয়ে সেলিয়া। সেলিয়া তার বোন রোজালিনকে ছাড়া কিছুই বোঝে না সারাক্ষণ দুজনে একসাথে থাকতে পছন্দ করে আর একজন আরেকজনকে অনেক ভালোবাসে যার কারণে বাধ্য হয়ে ডিউক ফ্রেডরিক রজালিনকে তার বাসা থেকে বের করে দেয় না।

রোজালীনের জীবনে অরলান্ডোর আগমন 

এরপর একদিন রোজালিন আর সেলিয়া ঘরে বসে গল্প করছিল আর এক দূত এসে তাদের জানায় যে এক কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটা শুনে সেলিয়া ভাবলো কুস্তি প্রতিযোগিতার ওখানে গেলে হয়তো রোজালিনের মনটা একটু হলেও ভালো হবে। তাই সেলিয়া আর রোজালিন যায় কুস্তি প্রতিযোগিতা দেখতে। সেখানে গিয়ে তারা দেখে যে এই কুস্তি প্রতিযোগিতা ছিলো এক অভিজ্ঞ কুস্তিগিরের সাথে একজন সাধারণ যুবকের।

 ওখানে উপস্থিত সবার মনে হচ্ছিল যে আজকে এই যুবক অকালেই মারা পড়বে কারণ সবাই ভাবছিল একজন অভিজ্ঞ কুস্তিগীরের সাথে একজন সাধারণ যুবক কিভাবে লড়াই করে জিতবে এটা তো প্রায় অসম্ভব। তখন ডিউড ফ্রেডরিক রোশালিন এবং সেলিয়াকে বলেন তোমরা গিয়ে ওই যুবককে বোঝাও যায় সে যেন এই কুস্তিতে অংশ না নেয় কিন্তু অরল্যান্ড কোনোভাবেই তাদের কথা শোনে না এদিক থেকে অরল্যান্ডোকে প্রথমবার দেখার পরেই রোজালিনের তাকে অনেক ভালো লেগে যায়।

ঠিক তারপরই শুরু হয় কুস্তি প্রতিযোগিতা যেখানে অরলান্ডো চার্লসকে সহজেই হারিয়ে দেয় যা দেখে নায়িকা আরও মুগ্ধ হয়ে যায় আর এটাই তো স্বাভাবিক তাই না। জিতবে নাই বা কেন নায়িকা আশেপাশে থাকলে নায়ক জিতবে এটাই স্বাভাবিক। নায়ককে দেখার সাথে সাথে নায়িকা তার প্রেমে পড়ে যায় যেটাকে আমরা ইংরেজিতে বলে থাকি LOVE AT FIRST SIGHT কি কাহিনী রে ভাই গল্পে আর নাটকে নায়িকা নায়ক কে দেখলেই প্রেমে পড়ে যায় বাস্তবে এমন কেন হয় না যাই হোক সবে তো প্রেমের শুরু দেখি আগে গিয়ে কি হয় আমার সাথে সাথে আপনারাও দেখুন চলুন ;

এবার যা হবে পুরাই হাস্যকর

চার্লসের কথা মনে আছে আপনাদের কেন থাকবে না একটু আগে অরলান্ডো যাকে ধরে পিটালো সেই চার্লস আবার কাজ করে ডিউক ফ্রেডরিক অর্থাৎ সেলিয়ার বাপের হয়ে। তো চার্লস অরলান্ডোর কাছে হেরে যাওয়ার পরে ফ্রেডরিক তো বেজায় ক্ষেপে গেল অরলান্ডোর ওপরে। এরপর ফ্রেড্রিক অরলান্ডোকে বললো তুমি কে হে আমরা এখানকার পালোয়ানকে এভাবে হাড়িয়ে দিলে বলল রোল্যান্ড ডি বয়েজের ছোট ছেলে। যা শুনে ফ্রেডরিক আবার ক্ষেপে গেল এবার হয়তো আপনারা ভাবছেন কেন ক্ষেপে গেলেন ফ্রেডরিক ?

আসুন বলছি আসলে এই গল্পে টুইস্টের কোন অভাব নেই টুইস্টের পর টুইস্ট পেতেই থাকবেন। রোল্যান্ড ডি বয়েজ হলো আবার ডিউক সিনিয়রের বন্ধু আর বড় ভাই যেহেতু ফ্রেডরিকের শত্রু সেহেতু তার বন্ধুও তো তার শত্রু তাই সে অরলান্ডোর ওপর আরও খেপে গেছিলো। এবার বুঝছেন তাহলে কাহিনী ?

এরই মধ্যে ডিউক ফ্রেডরিক বুঝতে পারে যে রোজালিন আর অরলান্ডোর মধ্যে কিছু চলছে তারা একজন আরেকজনকে পছন্দ করে। তারপর তার মাথায় আসে যে তার মেয়ে যদি রোজালিনের সাথে থাকে সেও খারাপ হয়ে যাবে তাই এবার ডিউক ফ্রেডরিক রোজালীনকেও তার রাজ্য থেকে তারিয়ে দিতে চায়। বিষয়টা রোজালিন আর সেলিয়া জানার পরে একদিন তারা মিলে পরিকল্পনা করে যে তারা বাড়ি থেকে পালাবে এবং তারা তাই করে এবং বাইরে গিয়ে তারা নিজেদের ছদ্মবেশ বদলে দেয় এবং সাথে সাথে তারা নিজেদের নামও বদলায়।

রোজালিন ছদ্মবেশ নিয়ে ছেলে রুপ ধারন করে জার নাম দেয় গানিমেট আর সেলিয়া মেয়ে সাজেই থাকে কিন্তু সে শেফার্ড গার্ল এর রুপ ধারন করে এবং নাম দেয় এলিয়ানা। এরপর দুজন বেরিয়ে পরে এবং গিয়ে সেখানে পৌছায় যেখানে তার বাবা অর্থাৎ ডিউক সিনিয়র তার দলবল নিয়ে অবস্থান করেছিলেন।

এদিকে ডিউক ফ্রেড্রিক যখন জানতে পারেন যে তার মেয়ে এবং রোজালীনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তখন সে মনে করেন যে তার মেয়ে এবং রোজা লীনকে নিয়ে রোল্যান্ড ডি বয়েজের ছোট ছেলে অর্থাৎ অরলান্ডো পালিয়েছে। এরপর ডিউক ফ্রেডরিক সোজা চলে যান রোলান্ডী বয়েজের বড় ছেলে অর্থাৎ অলিভারের কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন যে তোমার ভাই আমার মেয়ে ও আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে তখন অলিভার তাকে জানায় যে কিছুদিন ধরে অরলান্ডোকেও তারা কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না।

এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন অরলান্ডো আবার কোথায় গেল কোথায় আবার যাবে ভাই নায়িকা যেখানে গেছে সেখানেই গেছে কি বুঝতে পারলেন না ?

আমি বুঝিয়ে বলছি অরলান্ডো ও গেছে ফরেস্ট অফ আরডেন নামক সেই জঙ্গলে ঠিক যেখানে রোজালিন ও সেলিয়া ছদ্মবেশ ধারণ করে এখন অবস্থান আছে। দুনিয়াতে এত জায়গা থাকতে ওদের ওই একই জঙ্গলে যেতে হল যেখানে ডিউক সিনিয়র রয়েছে রোজারিন ও সেলিয়া রয়েছে আর এখন তো অরল্যান্ডো তো আমাদের গল্পের নায়কও সেখানেই চলে গেছে। কি মজার ঘটনা তাই না এরা সবাই নিজেদের অজান্তেই একই জঙ্গলে চলে গেছে অথচ কারো সাথে কারো দেখা হয়নি যখন দেখা হবে তখন কি হবে ভেবেছেন ভেবেছেন ? সেটা জানতে হলে পড়ুন As You Like it গল্পের দ্বিতীয় পর্ব।

ততোক্ষণ সাথেই থাকুন আর কমেন্ট করতে ভুলবেন না কেমন লাগলো এই গল্পের প্রথম পর্বটি ?

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url