The lion and jewel এর গল্প বাংলায়

THE LION AND JEWEL হলো এমন একটি গল্প যেখানে বোঝানো হয়েছে যে সামর্থ্য থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব সেটা হোক কোন রাজত্ব বা কোন মেয়ের শরীর এই গল্পটিতে এমন কিছু চরিত্রের কথা বলা হয়েছে যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই ব্যস্ত আবার বোঝানো হয়েছে যে দুনিয়াতে শক্তি ও সামর্থটাই বড় আর এর কাছেই হেরে যায় হাজারো অনুভূতি হয়ত আপনাদের মনে হচ্ছে এগুলো আমি কি বলছি আসলে গল্পটা অনেক রোমাঞ্চকর আপনারা পড়লে আপনাদের ভেতরেও কিছু খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি হবে।


খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি হওয়ার কারণ হলো গল্পটি একটি মেয়ের সৌন্দর্য তার যৌবন ও তার যৌবন দেখে আকৃষ্ট হওয়া একাধিক পুরুষ ও তার যৌবনকে দখল করার জন্য যে প্রয়াস রচনা করা হয়েছে অর্থাৎ চেষ্টা করা হয়েছে সেটা নিয়েই আজকের গল্প তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক ;-

ভূমিকা ;- 

সহজ কথায় বলতে গেলে যে কোন গল্পের প্রথমে নায়ককে নিয়ে আলোচনা করা কিন্তু আজকে আমরা জানবো আমাদের আজকের গল্পের সাইড নায়ক কে নিয়ে যে শুধু ভালোবেসেই গেল কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে পেল না হ্যাঁ আমরা আলোচনা করছি লাকুনলে নামক এক ছেলে কে নিয়ে যে কিনা এই গল্পের নায়িকাকে শুরু থেকেই ভালোবেসে গেছে এবং তাকে পাওয়ার জন্য আশা কখনোই ছাড়েনি কিন্তু কিন্তু গল্পের শেষে যা হলো তার বলার মতন না চলুন দেখেনি বেচারা লাকুনলের সাথে শেষ পর্যন্ত কি ঘটলো ;-

গল্পের মূল চরিত্রগুলো

  • Lakunle ;- লাকুনলে একজন শিক্ষিত লোক এবং সে ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত। বর্তমানে সে একজন স্কুল টিচার হিসেবে কর্মরত। নাইজেরিয়াকে সে মডার্নিজম এর ধারায় অতিবাহিত করতে চায়।

  • Baroka ;- ব্যারোকা দা লায়ন এন্ড দা জুয়েল নাটকের অন্যতম একটি চরিত্র যিনি গ্রাম প্রধান হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি তার শারীরিক গঠন ও শক্তি সামর্থের জন্য গ্রামে লায়ন হিসেবে পরিচিত। তিনি চান না যে তার গ্রামের কোন পরিবর্তন হোক এবং তিনি মূলত সব সময় গ্রামের মানুষদের উপরে তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলতে চান।

  • Sadiku ;- সাদিকু হল ব্যারোকার বড় বউ এবং ব্যারোকার জন্য সুন্দরী তরুণীদের রাজি করানোর কাজে তিনি ম্যাচ মেকার হিসেবে কাজ করে থাকেন। বলা যায় যে ব্যারোকার সব ধরনের কাজেই তিনি অত্যন্ত হেল্পফুল।

  • Sidi ;- সিডি এই নাটকের নায়িকা এবং অত্যন্ত সুন্দরী একজন তরুণী যার সৌন্দর্যের বিমোহিত হয়ে ব্যারোকা তার ভার্জিনিটি আত্মসাৎ করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। একই সাথে সিডি তার সৌন্দর্য নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত কারণ তার ছবি একটা বিদেশি ম্যাগাজিনে প্রকাশ পেয়েছিলো যার কারনে পরবর্তীতে যেটা তার ট্রাজিক সিচুয়েশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

THE LION AND JEWEL STORY

দ্য লায়ন এন্ড জুয়েল নাটকটি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত। তা হলো ;- মর্নিং, নুন এবং নাইট। তো চলুন আমরা এই নাটকের মূল বিষয়টা কি তা জেনে নেই ;-

Morning  অর্থাৎ সকালে 

মর্নিং;- নাটকটি শুরু হয়েছে Ilujinle (ইলুজিনেল) গ্রামের একটা ফাঁকা জায়গা দেখানোর মাধ্যমে। এই জায়গাটিকে মূলত গ্রামের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যার পাশে একটা স্কুলে লাকুনলে বাচ্চাদের পড়াচ্ছিল। ঠিক এই সময় এই নাটকের নায়িকা সিডি পানি ভর্তি একটি কলস মাথায় নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল।

এমন সময় লাকুনলে স্কুল থেকে বের হয়ে এসে তার পথ আটকে বললো যে তোমার মতো একজন সুন্দরী মেয়ের পানির কলস মাথায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয় কারণ এতে করে তোমার ঘাড় ছোট ও মোটা হয়ে যাবে এবং তোমাকে দেখতে খুব অসুন্দর লাগবে।

তাছাড়া সে আরো বলে যে সিডির কাপড় চোপড় মার্জিত না হওয়ার কারণে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখা যাচ্ছে যেটা দেখে গ্রামের যুবকেরা উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা করছে। এই কথা শুনে সিডি ক্ষেপে গেল এবং লাকুনলেকে বলল যে এজন্যই তাকে গ্রামের মানুষ পাগল বলে থাকে। এটা শুনে লাকুনলে সিডিকে বলল যে গ্রামের এই অশিক্ষিত মূর্খ মানুষদের কথায় তার কোন কিছু আসে যায় না।

তাছাড়া পুরুষদের থেকে সুন্দরী মহিলাদের মাথায় বুদ্ধি কম থাকে তাই তাদের সাথে তর্ক করা সম্পূর্ণ বোকামি। এই কথা শুনে সিডি প্রচন্ড ক্ষেপে গেল এবং লাকুনলেের কথা না শুনে বাড়ির দিকে এগোতে চাইলেও কিন্তু লাকুনলে তারপথ আটকে তাকে বলল যে সে তাকে বিয়ে করতে চায়। সিডি তখন বলল যে ব্রাইড প্রাইস ছাড়া সে লাকুনলেকে বিয়ে করতে পারবে না কারণ ব্রাইড প্রাইস ছাড়া সেই মহিলারাই পুরুষদের বিয়ে করে যাদের আগে বিয়ে হয়েছিল কিংবা যাদের ভার্জিনিটি নেই। সুতরাং তাকে বিয়ে করতে হলে ব্রাইড প্রাইস দিয়েই বিয়ে করতে হবে।

এমন সময় তার পাশ দিয়ে একদল বাদ্যযন্ত্র বাদকরা যাচ্ছিল এবং সিডিকে দেখে বলল যে তার ছবি নাকি বিদেশি একটা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে। বিদেশি এক সাংবাদিক এসে গ্রামে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং সেই ম্যাগাজিনে প্রথম পেজে সিডির ছবি বড় করে ছাপা হয়েছে এবং তার পাশে ছোট্ট করে ব্যারোকার ছবি ছাপা হয়েছে। এটা শুনে সিডি মনে মনে আরো গর্ববোধ করতে লাগল যে তার মত সুন্দরী বোধ হয় এই এলাকায় আর কেউ নেই।

এ সময় গ্রামের লোকজন সিডিকে অনুরোধ করে বলল যে একটা অভিনয় করে দেখাতে এবং কি অভিনয় করবে এটা বলতে বলতে সবাই বলল যে গ্রামে যে ফটোগ্রাফার এসেছিল সেই অভিনয়টা করে দেখাতে। সিডি তখন লাকুনলেকে ফটোগ্রাফারের চরিত্রে অভিনয় করতে বলল। যদিও লাকুনলের ইচ্ছা ছিলো না কিন্তু সিডির কথা ফেলতে না পারায় সে অভিনয় করতে রাজি হলো।

অভিনয়ের সময় লাকুনলে গাড়ি চালিয়ে গ্রামে আসলো এবং বিভিন্ন জায়গার ছবি তোলার অভিনয় করলো আর শেষ পর্যন্ত সিডির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তখন সে ভাবল যে এই মেয়েটার ছবি তোলার জন্যই সে হয়তো ঘুরছে এবং ছবি তোলার অভিনয় করল।

হঠাৎ এমন সময় সেখানে ব্যারোকা উপস্থিত হলো এবং এই অভিনয় থামিয়ে দিয়ে বলল যে তারা সেই ম্যাগাজিন গ্রামে নিয়ে আসতে চায় এবং এই কাজে তাদেরকে সহায়তা করবে লাকুনলে কারণ সে বিদেশিদের সাথে কথা বলে ম্যাগাজিন নিয়ে আসতে পারবে। সেখান থেকে যখন লাকুনলে এবং সিডি চলে যাচ্ছিল তখন ব্যারোকা সিডির দিকে তাকিয়ে বলল যে প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেল কোন বিয়ে করা নেই। এভাবেই প্রথম প্লটের সমাপ্তি ঘটলো।

গল্পের দ্বিতীয় পর্ব 

Noon অর্থাৎ দুপুরে যা হলো ;-

নুন অর্থাৎ দুপুর ;- তারপর একদিন দুপুরে বাজারের পাশ দিয়ে সিডি হাঁটছিল । যদিও সে তার গ্রামে পড়েছিল কিন্তু তার মন গিয়েছিল সেই ম্যাগাজিনের কাছে কারণ সেই ম্যাগাজিনের কারণেই তার সৌন্দর্যের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন সময় ব্যারোকার বড় বউ সাদিকু তার কাছে আসলো এবং তাকে বলল যে ব্যারোকা তাকে বিয়ে করতে চায়। আর সিডি এতটাই সৌভাগ্যবতী যে সে ব্যারোকার ফাস্ট ওয়াইফ হতে চলেছে। আর ফার্স্ট ওয়াইফ এর মর্যাদা কি সেটা সিডি ভালোভাবেই জানে।

কিন্তু সিডি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলল যে ব্যারোকা তাকে এজন্যই বিয়ে করতে চায় যে ম্যাগাজিনে ব্যারোকার ছবি ছোট করে দেওয়া হয়েছে এবং সিডির ছবি ও সৌন্দর্য অনেক ভালোভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এই কথা বলে সে সাদিকু কে ফিরিয়ে দিল। সাদিকু বাড়িতে ফিরে গেল এবং ব্যারোকাকে এই কথা খুলে বলল। ব্যারোকার সর্বশেষ যে ওয়াইফ ছিল সে চায়না যে ব্যারোকা আর কোন বিয়ে করুক।

সিডি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে ব্যারোকা অত্যন্ত রেগে গেল এবং তার স্ত্রীদের কাছে বলতে লাগলো যে আমার বয়স হয়েছে তাই কি হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত আমার স্ত্রীদেরকে সন্তুষ্ট করে যাচ্ছি এবং আমার স্ত্রীরা আমার কাছে সব সময় পরাজিত। এরপর সে মনে মনে পরিকল্পনা করতে লাগলো যে কিভাবে সিডিকে বাগে আনা যায়।

তখন সে তার বড় বউ সাদিকুকে ডেকে বলল যে সে পুরুষত্ব হারিয়েছে। ব্যারোকা তাকে আরো অনুরোধ করলো যে সে যেন এই কথা কারো কাছে না বলে। ব্যারোকা বিলাপ করে বলতে লাগলো যে তার দাদা ৬৭ বছর বয়সে জমজ সন্তান জন্ম দিয়েছে এবং তার বাবাও ৬৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছে কিন্তু ৬২ বছর বয়সেই সে পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলল যেটা কোনভাবেই মানার মত নয়।

গল্পের শেষ পর্ব ;-

নাইট ;- এই ঘটনা শুনে সাদিকু মনে মনে খুব খুশি হল এবং সিডি যেখানে বসেছিল তার পাশে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ব্যারোকার পুরুষত্ব হারানোর ঘটনায় লাফালাফি করছিল আর আনন্দ করছিল। এরপর সিডি সেখানে আসায় সাদিকু তাকে ঘটনা খুলে বললো এবং তাকে অনুরোধ করল যে এই আনন্দে যোগদান করতে।

অন্যদিকে লাকুনলে সেখানে উপস্থিত হয়ে সবকিছু শুনে তাদেরকে বলল যে এরকম উপহাস না করতে কারণ ব্যারোকা যে কোন সময় রেগে যাবে। কিন্তু সিডি অতি উৎসাহী হয়ে বলল যে সে ব্যারোকার কাছে যাবে এবং তাকে তার সামনে থেকে উপহাস করে আসবে যদিও লাকুনলে সিডিকে বারবার নিষেধ করল।

সেখান থেকে সিডি যখন লাকুনলেের আদেশ অমান্য করে চলে গেল তখন লাকুনলে সাদিকু কে বলল যে সে এই গ্রামকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করে মর্ডানাইজেশন এর ছোঁয়ায় গড়ে তুলতে চায় এবং এই গ্রাম থেকে ব্রাইড প্রাইস প্রথা দূর করতে চায়। এরপর সিডি ব্যারোকার বাড়িতে গিয়ে দেখল যে ব্যারোকা সেখানে রেসলিং কম্পিটিশন করছিল এবং সিডি কে দেখে সে রেসলিং করতে করতে তার প্রশংসা করল আর অন্যান্য সকলের প্রশংসা করতে লাগলো।

পাশাপাশি এটাও বলতে লাগলো যে তার দাদা ৬৭ বছর বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল কিন্তু ৬২ বছর বয়সেই তাকে পুরুষত্ব হারাতে হলো। সিডি ব্যারোকার রেসলিং কম্পিটিশন দেখছিল এবং হাততালি দিচ্ছিল উপহাস করে যে সে পুরুষত্ব হারিয়েছে এবং ব্যারোকাকে সে কিস করতে চাইল। সবশেষে যখন রেসলিং প্রতিযোগিতায় তার প্রতিপক্ষকে ব্যারোকা হারিয়ে ফেলল তখন সিডির মুখ কালো হয়ে গেল। এরপরে ব্যারোকা সিডিকে প্রশংসায় ভুলিয়ে-ভালিয়ে ধর্ষণ করে।

ব্যারোকা কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার পূর্বে সিডি কোনভাবেই বুঝতে পারেনি যে এটা আসলে ব্যারোকার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল তাকে ফাঁদে ফেলার। যখন ধর্ষণের এই ঘটনা লাকুনলে শুনতে পেল তখন সে খুব খুশি হল কারণ এখন কোন ধরনের ব্রাইড প্রাইস ছাড়াই সে সিডিকে বিয়ে করতে পারবে।

কিন্তু সিডি বেঁকে বসলো যে সে ব্যারোকাকে বিয়ে করতে চায় কারণ সিডির প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে একজন মেয়ে কেবল একজন পুরুষের শয্যা সঙ্গী হতে পারে বা শুধু মাত্র একজন পুরুষের সঙ্গেই ঘর সংসার করতে পারে এর বাইরে যাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ৬২ বছরের ব্যারোকা লাকুনলেের চেয়ে শারীরিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী।

এরপর সিডি বারোকাকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তুতি নেয় এবং তাদের বিবাহ কার্যক্রম শুরু হয়। যখন ব্যারোকা এবং সিডির বিয়ে হচ্ছিল তখন লাকুনলে নাচতে নাচতে দর্শকের মধ্যে মিলিয়ে যায় । আর এমনিভাবেই প্রচলিত ট্রাডিশনের নিকট আধুনিকতার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে এই নাটকটির পরিসমাপ্তি ঘটে।

লেখকের মন্তব্য ;-

সময় বদলাচ্ছে সাথে বদলাচ্ছে আমাদের জীবনধারা ব্যস্ততার এই শহরে কেউ কাউকে নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই THE LION AND JEWEL এমন একটি গল্প যেখানে দেখানো হয়েছে পুরাতন যুগের সব সংস্কৃতি ও জীবনধারা যেখানে বোঝানো হয়েছে যৌতুক প্রথা লোভ লালসা ও শক্তি সামর্থের এক অভিনব দৃষ্টান্ত এছাড়া বোঝানো হয়েছে নারী জাতির ওপর সমাজের পুরুষদের ভয়ংকর কুদৃষ্টি । যাই হোক আমার কাছে গল্পটা বিনোদনমূলক ও শিক্ষামূলক উভয় মনে হয়েছে আপনাদের কাছে কেমন মনে হয় অবশ্যই জানাবেন তো আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url