চুল পড়া তাড়াতাড়ি বন্ধ করবেন কীভাবে ?

সময় যত এগোচ্ছে ততই মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে আর এই ব্যস্ততার মাঝখানে মানুষ ভুলেই যাচ্ছে যে তাদেরও নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত কারণ আমাদের শরীরের অর্থাৎ মানবদেহের যদি সঠিকভাবে খেয়াল না রাখা হয় তাহলে সবশেষে দেখা যাবে আমাদের শরীরে প্রায় অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিক যেমন আমাদের চুল আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এগুলো একদমই জানতাম না যে চুলের ও আলাদা করে খেয়াল রাখতে হয়।


আজকে আমরা কিভাবে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় তা জানবো এবং জানবো চুলের ঠিকমতো খেয়াল না রাখলে পরবর্তীতে কতটা হতাশার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে চলে আর দেরি না করে জেনে নেই কিভাবে চুলের খেয়াল রাখবো এবং কি কি ব্যবহার করলে আমরাও উপকৃত হতে পারবো ;-

চুল পড়ে যাওয়ার আসল কারণ কি ?

চুল পড়ে যাওয়া কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয় আমাদের প্রত্যেকেই প্রতিদিন একটু না একটু হলে চুল পরেই। কিন্তু চুল পড়া কি আসলে সবার কাছে ভালো লাগে ? সবার কাছে কি কারো কাছেই ভালো লাগে না। আমার নিজেরই প্রতিদিন নিয়ম করে বেশ কিছু চুল পড়ে যায় যেটা আমার কাছে একদমই পছন্দ না। কারণ আমার চুল আমার সৌন্দর্য আমার মতো সবার কাছে যার যার চুল খুবই প্রিয়।

কিন্তু এই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য জেনে রাখা খুবই জরুরী। অনেকেই এই নিয়ম জানে না জন্য নিজেদের পছন্দের চুলটা অকালে হারায়। সুন্দর ও লম্বা চুল বজায় রাখার জন্য কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো জানলে কিছুটা হলেও আপনাদের অনেক উপকার হবে। আমরা সবাই জানি যে চুলকে ভালো রাখার জন্য যে জিনিসটা আমরা ব্যবহার করি সেটা হলো তেল।

তেল হচ্ছে ঘরে বসে চুলে যত্ন নেয়ার জন্য সবথেকে ভালো একটি উপাদান। যা আপনার রুক্ষ চুলকে করে কালো ঘন সুন্দর। বিশেষ করে ছেলেরা মাথায় তেল ব্যবহার করে থাকে মেয়েরাও করে। তো তেলের মতোই আরো কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের চুলের যত্ন নিতে পারবেন কারণ প্রতিদিন অল্প করে চুল পড়ে যাওয়া তো স্বাভাবিক।


কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায় অর্থাৎ আপনার যদি প্রয়োজনের থেকে বেশি চুল পড়ে যায় আর সেই জায়গায় নতুন করে চুল না গজায় তখনই হয়ে যায় সর্বনাশ অর্থাৎ দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যায় কারণ নিঃসন্দেহে সবাই চায় ঘন ও সুন্দর চুলের অধিকারী হতে আর সেখানে যদি আপনি দেখেন চিরনি ভরে আপনার মাথার চুল উঠে যাচ্ছে তখন কেমন লাগবে বলুন।

ঠিক সেই সময়ই আমরা চলে যত্ন নিতে শুরু করি কিন্তু যখন ওটা যদি আমরা আগে নিতাম তাহলে কিন্তু এই দিনটা দেখতে হতো না তাই আমি আপনাদের আজকে এমন কিছু নিয়ম বলবো যেগুলো অনুসরণ করলে আপনাদের চুল পড়ে যাওয়ার আগে সেটাকে আপনারা রোধ করতে পারবেন। আপনারা কি জানেন চুল পড়ে যাওয়ার জন্য শুধু বাইরের পরিবেশ দায়ী নয় দায়ী আপনার অনিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস আপনি কি খান না খান এগুলোর উপরেও ফুল পড়ে যাওয়া নির্ভর করে।

তাই চুল পড়ে যাওয়া বন্ধ করার জন্য আপনাদের খাবার তালিকার দিকে নজর দেয়া একান্ত জরুরী তাহলে চলুন আর্জেন্টিনা করে জেনে নি ই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কি করতে হবে আর কি করতে হবে না।

চুলের জন্য ডিমের উপকারিতা

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ডিম খেতে একদম পছন্দ করেন না আবার অনেকেই আছেন যারা ডিম খেতে অনেক পছন্দ করেন যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য একটা সুখবর রয়েছে অন্যদের তুলনায় আপনাদের একটু হলেও চুল কম পড়বে কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আপনার চুলের গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করবে।

প্রোটিন বলতে এমন একটি কুষ্টি উপাদানকে বোঝানো হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে এজন্য যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন না তারা কষ্ট করে হলেও নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে আপনার শরীর ও চুল দুটোই ভালো থাকবে কারণ যে প্রোটিন টিমে রয়েছে সে প্রোটিনের অভাবেই অনেক সময় চুল পরার পরিমাণ বেড়ে যায়।তাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে নিয়মিত। এক্ষেত্রে ডিম আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

নিয়মিত ডিম খেলে তা চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যকর এবং ঘন। এছাড়াও টিমের মধ্যে যে বায়োটিন উপাদানটি রয়েছে সেটা চুলের জন্য কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা চুলের জন্য খুবই উপকারী।সুস্থ চুলের জন্য কেরাটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। চুলে সঠিকভাবে ডিম ব্যবহার করলে যে উপকার গুলো পাওয়া যাবে তা নিচে দেওয়া হলো একটু কষ্ট করে দেখে নিন ;
  • ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন চুলকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। ডিমের মধ্য়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যার মাধ্যমে সহজেই চুল হয়ে যায় বড় ও স্বাস্থ্যকর।
  • চুলে যদি নিয়মিত কাঁচা ডিম ভেঙে ব্যবহার করা যায় তাহলে চুল পড়া কমে যায় এবং তার সাথে সাথে চুলের গোড়া অনেক মজবুত করে থাকে।
  • চুলে ডিম ব্যবহার করার কারণে চুল হয় সিল্কি সুন্দর ও আরো আকর্ষণীয়।
  • এছাড়াও এটা চুলের গোড়াতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে যা চুলের গোড়া কেউ করে মজবুত ও শক্ত।

ভিটামিন ই চুলে ব্যবহারের নিয়ম

ভিটামিন ই বলতে সাধারণত একটি ভিটামিন ক্যাপসুল কে বোঝানো হয়েছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করার কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন এই ক্যাপসুলটি যদি আপনারা চুলে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাদের যে কাজটি প্রথমে করতে হবে সেটা হল প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আর দই এবং মধু একটি বাটিতে নিয়ে নিতে হবে এবং পরে অর্ধেক কাপ দই নিবেন ও দুই' চামচ মধু নিয়ে নিতে হবে।

এরপর যে চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থাকবে সেগুলো থেকে তেল বের করে দইয়ের যে মিশ্রণ তৈরি করা হলো তার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে ভালো করে লাগাবেন। এরপর এই মিশ্রণটি আধা ঘণ্টা চুলে রেখে দেওয়ার পরে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিবেন। সপ্তাহে দুদিন যদি এই ব্যক্তি ভালোমতো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলে খুশকির সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে আর চুল হয়ে যাবে আরো সিল্কি ও সুন্দর।



চুল মানুষের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ আর সেই চুলকে ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। চুলকে ভালো রাখার পাশাপাশি এই উপাদানটি মাথার ত্বকও অনেক ভালো রাখে। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই প্রতিদিন ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খাওয়ার। এ ধরনের খাবারের মধ্যে একটি হলো কাঠবাদাম। কাঠ বাদামে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন। যা আপনাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও এই ধরনের উপাদান চুলের কোষ কেউ রাখে সুস্থ সম্বল। আমার মনে হয় এই কারণেই যেসব নানা ধরনের বিউটি কোম্পানি গুলো রয়েছেন তারা তাদের প্রোডাক্টে ভিটামিন ই ব্যবহার করে থাকে ভিটামিন ই আমাদের যে ত্বক রয়েছে সেটাকে সূর্যের অতিবেগুনে রশ্মি অর্থাৎ তাপ থেকে বা ক্ষতিকারক প্রভাব রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ঠিক তেমনি একইসঙ্গে চুলকে ভালো রাখার ক্ষেত্রেও এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

প্রবেশ কয়েক বছর ধরেই নষ্ট হয়ে যাওয়া চুলকে আবার সুন্দর করে তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ভিটামিন ই। নানা হেয়ার প্রোডাক্টেও এই ভিটামিন-এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছে । আমাদের মাথার যে চান্দি রয়েছে সেখানে রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে থাকে ভিটামিন ই। এর ফলে, চুলের বৃদ্ধিতে অনেক উন্নতি ঘটে যা হয় একদম দেখার মতো। ভিটামিন ই চুলে ব্যবহার করার ফলে চলে অক্সিজেনের সরবরাহ সঠিক মতো হয়।

ফলে চুল ও বড় হয় তাড়াতাড়ি। ভিটামিন ই তে আরও থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও জিঙ্ক। এগুলো চুলের জন্য বেশ উপকারী উপাদান। আপনারা আপনাদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ভিটামিন নিয়ে উপাদানটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

চুল পড়ার সমস্যা আজকাল সাধারণ হয়ে উঠেছে অর্থাৎ কমবেশি প্রায় সবার মধ্যেই এই সমস্যাটি ধরা পড়ছেন। প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১৫ জন নারী এবং পুরুষ এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। মেয়েদের তো তাও চুল থেকে যাচ্ছে আর ছেলেদের পুরা চান্দি বের হয়ে যাচ্ছে একদম। বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া বদরের কারণে জায়গা পরিবর্তনের কারণে এছাড়াও রয়েছে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং দূষণ।

সাধারণত এই সমস্যাগুলির কারণেই চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে চলেছে। তবে চুলের সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যাগুলো অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। চুল সুস্থ রাখার জন্য আপনাদের চুলের চাহিদা বোঝার পাশাপাশি চুলের জন্য সঠিক পুষ্টির যোগান দেয়া জরুরি। অসম্পূর্ণ ঘুম আর তাছাড়া আজাইরা চিন্তা ভাবনাতে রয়েছে আমি টেনশনের কথা বলছি।

টেনশনের কারণে বেশিরভাগ সময় চুল বেশি পড়ে যায় টেনশন করা কম করবে যদি এটা আপনা আপনি আসেন তবুও চেষ্টা করবেন অযথা চিন্তা না করেন সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করবেন। দেখবেন শরীর ভালো থাকছে আর সাথে আপনার চুল ও।

চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার

আপনাদের মধ্যে জবা ফুল চেনেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে আপনারা কি জানেন জবাগাছের ফুল ও পাতা এই দুটি জিনিস চুলের জন্য কতটা উপকারী। না জানলেও সমস্যা নেই আমি আছি তো সব বলে দিচ্ছি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন সব জানতে পারবেন। চুলের যত্নের জন্য এখন অনেক ধরনের কোম্পানি নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের পণ্য বানাচ্ছে যেগুলো কাজে না দিলেও মার্কেটিং অনেক ভালোভাবে করা হয়ে থাকে।

যার কারণে আমাদের মনে হয় যে এই প্রোডাক্টটা ব্যবহার করলে হয়তো বা আমাদের অবশ্যই নতুন করে চুল গজাবে আসলে ব্যাপারটা এমন না বেশিরভাগ প্রোডাক্টটি আপনাদের তেমন কাজে আসবে না তবে যেটা আসবে সেটা হতে হবে একদমই প্রাকৃতিক আর প্রাকৃতিক চিকিৎসার থেকে বড় চিকিৎসা আর কিছু হতে পারে না বিশেষ করে চুলের ক্ষেত্রে।

আপনাদের হয়তো নানা ধরনের ফাংশানে যেতে হয় আর তার জন্য তো এখন থেকেই চুলের জৌলুস বাড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন তাই না। আর আপনারা কি জানেন জবা ফুলের নির্যাস সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে আপনারা চুল পড়া রোধ থেকে শুরু করে ফলিকল মজবুত করতে পর্যন্ত পারবেন। এটা আপনাদের মাথার চান্দিতে রক্ত চলাচল বাড়ায় করে জবা ফুলে নির্যাস ও এর পাতার রসের মধ্যে রয়েছে চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন। যা আপনাদের চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করবে।


যার চুলে যত বেশি কেরাটিন থাকে সেই চুল তত বেশি মজবুত ও ঝলমলে হয়ে থাকে। জবা ফুল প্রাকৃতিকভাবে অ্যামাইনো এসিড দিয়ে ভরপুর যা আপনাদের চুলে কেরাটিন নামক একটি প্রোটিনের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। এই উপাদানটি চুলে প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি জুগিয়ে চুলের সৌন্দর্য বারায়। এছাড়াও এই উপাদানটি চুল ঘন হতেও সাহায্য করে আর নতুন করে আবার চুল গজাতে সাহায্য করে।চুল পাতলা হওয়া প্রতিরোধ করতেও এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আপনারা হয়তো ভাবছেন খালি উপকারিতাই বলে যাচ্ছি ব্যবহার কেমনে করবো এটা তো বলছে না এখন সেটাই বলবো। চুলে জবা ফুল ব্যবহারের আগে এর উপায় সম্পর্কে জানা খুবই দরকার কেমনে করবেন। চলুন বলেই দি ;

  • চুলের যত্ন নেয়ার জন্য জবা ফুলের তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জবা ফুল চলে ব্যবহার করতে হলে প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হল প্রথমেই কয়েকটি পুষ্ট দেখে জবা ফুল নিন এবং সেগুলো ভালো করে পাটায় বেটে নিন।
  • এরপর আধা কাপ নারকেল তেল নিন এবং জবা ফুল যে বেটে নিলেন তার সাথে ভালো করে মিশিয়ে চুলায় বা আকায় ফুটিয়ে নিন।
  • তারপর আর কি হয়ে গেল চুলের জন্য উপকারী অসাধারণ সেই জবা ফুল দিয়ে বানানো তেল।
  • তেল বানানো হয়ে যাওয়ার পর গোসলের আগে সেটা চুলে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা বসে থেকে অপেক্ষা করে নিন ।
  • আধ ঘন্টা হয়ে গেলে ওয়াশরুম গিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
  • এরপর আস্তে আস্তে আপনি উপকারী তেলটি ব্যবহার করার ফল দেখতে পাবেন আপনার চুল সিল্কি ও সুন্দর হয়ে যাবে।
এছাড়াও অনেকে রয়েছেন যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে গিয়েছেন বা চুলে পাক ধরেছে। আমি আপনাদের একটা মজার কথা বলি আমার একটা বন্ধু রয়েছে তার বয়স খুব একটা বেশি না কিন্তু তার মাথায় অসংখ্য সাদা চুল রয়েছে তো আমার বন্ধুর মতো অনেকেই রয়েছেন যাদের হয়তো চুল সাদা হতে শুরু করেছে অল্প বয়সেই।

তাদের জন্য আমার যে সাজেশন থাকবে সেটা হলো আপনারা প্রথমে কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানির রং যখন লাল হয়ে যাবে তখন সেটা ঠাণ্ডা করে একটি স্প্রের বোতলে ভরে তুলে রাখুন। এরপর যে কাজটা করবেন সেটা হলো আপনারা প্রতিদিন গোসলের আগে চুলে সেই স্প্রে আগের ব্যবহার করবেন তারপর আধাঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এটা প্রতিদিন ব্যবহার করার পর অল্প দিনের মধ্যে আপনাদের চুল কালো হতে শুরু করবে।

চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধেও এটা অনেক সাহায্য করবে আর এটাকে বলা হয় জবা ফুলের হেয়ার টনিক। তো বলুন কেমন লাগলো আশা করি এটা ব্যবহার করার পর আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

জবা ফুল চুল শক্ত ও মজবুত করার জন্য বেশ পরিচিত। এই লাল ফুল ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে ভরা যা মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলকে পুষ্ট ও শক্ত করে, আরস্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি করে এবং চুল পাতলা হওয়া বন্ধ করে। জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের হয়তো আর জানতে কিছু বাকি নেই আশা করি যা বলেছি বুঝতে পেরেছেন আর এই প্যাকটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে অবশ্যই আপনাদের উপকার হবে।

চুলের জন্য তুলসির উপকারিতা

তুলসী পাতা সম্পর্কে আপনাদের প্রায় ভালই ধারণা থাকা উচিত। বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকেন তারা অবশ্যই তুলসী পাতা চিনবেন। আমরা এতদিন জেনে এসেছি যে , তুলসী পাতা শুধুমাত্র আমাদের যখন সর্দি কাশি হয় তখন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা তো কখনো ভেবেছি যে , চুল পড়া বন্ধ করার জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে বা চুলকে শক্তিশালী করার জন্য চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য তুলসী পাতার গুরুত্ব রয়েছে।


আমরা হয়তো এর আগে ভাবি নি যাই হোক , আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন এতক্ষণ যে আমি কি বলতে চাইছি আমি এবার আপনাদের বলবো যে, কিভাবে তুলসী পাতার সাহায্যে আপনারা প্যাক বানিয়ে সেটাকে চুলে ব্যবহার করতে পারেন আর কিভাবে এর মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

  • তুলসী পাতা প্যাক বানাতে হলে প্রথমে যে কাজটা আমাদের করতে হবে সেটা হল প্রথমে একটি পাটা নিন
  • তার উপরে বেশ কিছু তুলসী পাতা নিন এবং তুলসী পাতার সাথে হালকা করে পানি রেখে ভালো করে বেঁটে নিন
  • এরপর সেটা আস্তে আস্তে নিজেদের মাথায় লাগিয়ে নিন।
  • ভালো করে লাগানো হয়ে গেলে আধাঘন্টা বসে থেকে অপেক্ষা করুন।
  • এরপর যখন শুকিয়ে যাবে ওয়াশরুম দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে একবার করে ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল আস্তে আস্তে কালো হতে শুরু করবে এবং দেখবেন একসময় গিয়ে আপনাদের কাছে নিজেদে্র চুল অনেক আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া এটি চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি অকালে চুল পাকা রোধ করবে।

তুলসী পাতা দিয়ে চুলের জন্য প্যাক বানানোর আরও একটি উপায় রয়েছে যা নিচে দেওয়া হলো ;

  • আপনারা চাইলে আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে তুলসী পাতার গুঁড়া মিশিয়ে একটি ভালো প্যাক প্রস্তুত করতে পারেন।
  • এর জন্য প্রথমে আপনাদের যে কাজটি করতে হবে সেটা হল কিছু পরিমাণ আমলকির গুঁড়ার সঙ্গে তুলসী পাতার গুড়া মিশিয়ে নিন
  • এরপর যে কাজটি করতে হবে সেটা হল এই দুটির গুঁড়া একসাথে মেশানো হয়ে গেলে সেই মিশ্রণটি পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন ৮ ঘণ্টার মতো।
  • তারপর চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালো করে মাথায় লাগিয়ে নিন।তারপর যখন শুকিয়ে যাবে তখন ভালো করে মাথা মানে চুল ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়েও চুলের জন্য প্যাক তৈরি করা যায়। প্যাকটি তৈরি করার পরে সেই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে করে চুলে যদি খুশকি থেকে থাকে তাহলে সেতা দূর হয়ে যাবে। আর আপনারা হয়তো জানেন চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে খুশকি একটি। আর যদি খুশকি চলে যায় তাহলে চুল পড়া আপনা আপনি অনেকটা কমে যাবে।

চুলে আমলকি ও লেবুর রসের ব্যবহার

ভিটামিন সি যে উপাদানটি রয়েছে সেটা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি চুলের গোড়া মজবুত করে। আমলকি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমলকি খুশকি থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে। চলুন আপনাদের বলে দি কিভাবে আমলকির ব্যবহার আপনারা চুলে করবেন ;

  • চুল আমলকি্র ব্যবহার করতে হলে যে কাজটি আপনাদের প্রথমে করতে হবে সেটা হলো প্রথমে আপনারা এক চা চামচ আমলকি পাউডার নিয়ে নেবেন
  • এরপর সেই পাউডার কয়েক ফোটা লেবুর রসের সাথে ভালো মতো মিশিয়ে নিবেন
  • ভালো মতো মেশানোর পরে এটা একটা ঘন ধরনের আমলকির পেস্টে পরিণত হবে যা আপনারা চুলে দিয়ে আধাঘন্টা অপেক্ষা করবেন
  • এরপরে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন।
আস্তে আস্তে এই প্যাকটি ব্যবহার করার সুফল দেখতে পাবেন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে খুব তাড়াতাড়ি।

চুলে মেহেদি দেওয়ার উপকারিতা ও নিয়মাবলী

চুলকে ভালো রাখতে হলে মেহেদি পাতার কোন বিকল্প নেই আসুন জেনে নি কিভাবে চুলে মেহেদি পাতা ব্যবহার করে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন ;

  • প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো প্রয়োজনীয় পরিমাণে মেহেদী পাতা সংগ্রহ করে সেটাকে ভালো করে গুড়ো করে নিন
  • তারপর মেহেদি গুঁড়ার সঙ্গে তুলসী পাতার গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
  • এরপর চায়ের লিকার দিয়ে আপনার বানানো মিশ্রণটি ভিজিয়ে রাখুন ভালো করে সারারাত।
  • তার পরদিন আপনার বানানো প্যাকটি ভালো করে মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন
  • তারপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুল চুল হবে কালো ও ঝলমলে।
যে নিয়ম গুলো আমি আপনাদের বললাম সেগুলো যদি আপনারা একটিও ভালোমতো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা ভালো ফল পাবেন

চুলে পেঁয়াজের উপকারিতা

চুলে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার চুলের জন্য বেশ ভালো। সাধারণত যখন কারো চুল পড়া শুরু হয় তখন তার মাথাতে প্রথমেই আসে যে পেঁয়াজের রজ যদি মাথায় দিই তাহলে হয়তো আমার চুল পড়া কিছুটা হলেও কমবে। আসলে কথাটাসত্যি সত্যি চুল পড়া কমানোর ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ভূমিকা আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য পেঁয়াজের রসের ব্যবহার বেশ ভালো ফল দেয়। এই রসের মধ্যে রয়েছে সালফার , ভিটামিন সি , ভিটামিন এ , ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন। আর এই উপাদান গুলো চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুল নতুন করে গজাতে সাহায্য করে। চলুন আপনাদের বলে দি কিভাবে আপনারা আপনাদের মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন ;

  • প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হল পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এর রস ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে
  • এরপর পেঁয়াজের সাথে হালকা একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিলে আরো ভালো হয়
  • লেবুর রস আপনার চুলের গোড়ার ময়লা আবর্জনা দূর করতে সাহায্য করে।
  • এই দুইটা জিনিস এক জায়গায় নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন
  • তারপর সেই রস আস্তে আস্তে মাথায় ভালো করে মাসাজ করে নিতে হবে
  • পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নেওয়ার এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার চুল বড় করতে সাহায্য করে। সালফার কেরাটিন তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এক্কটা গুরুত্রাবপূর্টিণ কথা হলো কেরাটিন চুলের একটি প্রধান উপাদান। যা চুলের রক্ত চলাচল ভালো করে আর রক্ত চলাচল ভালো হলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির সরবরাহ ভালো হয়, ফলে চুল তারাতারি বাড়ে।

লেখকের মন্তব্য ;-

চুল সবার জন্যই শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থা তাই সবাই চায় তার চুল যেন অনেক আকর্ষণীয় অনেক সুন্দর দেখা আর চুল সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার জন্য যে নিয়মগুলো পেয়েছো তাহলে সেগুলোই আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলাম আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে তথ্যগুলো শেয়ার করতে পার শেয়ার করতে পারেন আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url