চুল পড়ে যাওয়ার কারন ও চুল পড়া বন্ধ করার ৫ টি উপায়

সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের ব্যস্তইয়ে আর এই ব্যস্ততার কারণে মানুষ ভুলেই যাচ্ছে যে তাদেরও নিজেদের শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত কারণ আমাদের শরীরের অর্থাৎ মানবদেহের যদি সঠিকভাবে খেয়াল না রাখা বা যত্ন না নেয়া হয় তাহলে সবশেষে দেখা যাবে যে, আমাদের শরীরের প্রায় অনেক অংশের ক্ষতি হওয়া শুরু হয়েছে ঠিক যেমন আমাদের চুল আমরা সকলেই যখন ছোট ছিলাম তখন একদমই জানতাম না যে, চুলের ও আলাদা করে খেয়াল রাখতে হয় বা যত্ন নিতে হয়।


আজকে আমরা কিভাবে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে হয় সে সম্পর্কে পুরোপুরি জানবো এবং জানবো চুলের ঠিকমতো খেয়াল না রাখলে পড়ে গিয়ে কতটা হতাশা বা দুঃখের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই কিভাবে চুলের খেয়াল রাখা যায় এবং চুলকে করে তোলা যায় আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ;

চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারন

বর্তমান সময়ে এসে চুল নিয়ে চিন্তা করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে কারণ এই সময় যারা শহরে বসবাস করে তাদের বেশিরভাগ মানুষেরই চুর পরার সমস্যাটি রয়েছে। কিন্তু তারা এটা জানে না যে কিভাবে চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করা যায় একেবারে স্থায়ীভাবে। এখন পর্যন্ত চুল পড়া বন্ধ করার কোন চিকিৎসা বের হয় নি। কারণ যদি তাই হতো তাহলে দুনিয়াতে এত মানুষ টাক হয়ে ঘুরে বেড়াতো না।

কিন্তু একটা সত্যি কথা না বললেই নয় চুল যদি হয় ঘন ও সিল্কি হয় তাহলে সেই চুল আপনার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক গুণ বেশি। বর্তমানে এই সময়ে এসে চুল পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ও সমস্যায় ভোগে বেশিরভাগ মানুষজন। চুল পড়ে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক সমস্যা অনেক সময় মানুষের চুল পড়ে যায় জিন গত কারনে অর্থাৎ হয় তার বংশে কেউ টাক রয়েছে বা তার আব্বুর মাথায় চুল নেই এরকম কারণে অধিকাংশ মানুষের বা জোয়ান ছেলেপেলের চুল পড়ে পাতলা হওয়া শুরু করে।

এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া ও চুলের আগা ফেটে যাওয়া এবং চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া এখন খুবই কমন সমস্যা। কিন্তু কমন সমস্যাটি প্রচুর মানুষের হতাশার কারণ চুল এমন একটা জিনিস যা না থাকলে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য একেবারেই কমে যায়। পাওয়া যায় না কোন গুরুত্ব নিজের কাছেও কেমন ছোট ছোট লাগে যেটা খুবই হতাশার ব্যাপার।

চুল একবার যাদের পাতলা হওয়া শুরু করে তারা মনের মতো করে চুল আচরাতে পারে না যেটা খুবই একটা দুঃখের বিষয়। আর চুল পড়তে শুরু করলে যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে টাক পড়ার মতো অসহ্য সমস্যাও দেখা দেয়।

এজন্য আমার কাছে মনে হয় চুল ঘন করার জন্য সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়া। কারণ ঘরোয়া উপায় গুলো রয়েছে তা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সাইড ইফেক্ট সেখানে নেই। সেইসঙ্গে আরও কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখলে ভালো হয়। আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজ, কিছু যত্ন দ্রুত চুলকে ঘন করে তুলবে।

যাইহোক আমরা যখন কোন সমস্যার সমাধান করতে চাই তখন সবার আগে আমাদের জেনে নেয়া জরুরী যে সমস্যাটা কি তাহলে সমস্যার সমাধান করে সহজ হয়ে যায়। তাই আপনারা যদি আপনাদের চুল পড়া বন্ধ করতে চান তাহলে প্রথমে জেনে নিন আপনাদের চুল কেন পড়ে যাচ্ছে। একটু নিচের দিকে তাকালেই কারনগুলো জানতে পারবেন ;

  • প্রথমত ; ফুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো অতিরিক্ত পরিমাণে শ্যাম্পু করা। আমরা অনেকেই মনে করি যে বেশি বেশি শ্যাম্পু করলে চুল সিল্কি ও সুন্দর থাকবে কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তেমন না শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা ক্ষারক পদার্থগুলো অল্পক্ষণের জন্য আমাদের চুলকে সিল্কি করে দিলেও পরে গিয়ে একজন আমাদের চুলের বারোটা বাজায় দেয়। আপনারা অবশ্যই দেখতে পাবেন শ্যাম্পু করার সময় প্রায় অনেক চুল আপনাদের হাতে উঠে আসে তাই ঘন ঘন শ্যাম্পু করা বাদ দিয়ে দিন না হলে পরিণাম খুব ভয়ানক হবে।
  • দ্বিতীয়ত ; সবসময় চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পরিবেশে থাকার জানি অনেকেরই চাপের কারণে বেশিরভাগ সময় দৌড়াদৌড়ি করতে হয় কিন্তু যতটুকু সম্ভব চুলকে রোদ ধুলাবালি এগুলো থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ এই ময়লা আবর্জনাগুলো আস্তে আস্তে আপনার চুলার গোড়াতে জমাট বাঁধতে শুরু করে আর চুলের গোড়াকে দুর্বল করে তোলে আর বুঝতেই পারছেন চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে গেলে কি হবে !
  • তৃতীয়ত ; আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভেজা চুল আঁচড়াতে খুব পছন্দ করেন। হয়তো আপনারা ভাবছেন মজাই তো তুমি যেদিকে নিয়ে যাচ্ছি সেদিকেই যাচ্ছে কিন্তু আপনারা কি জানেন ভেজা চুল সব থেকে বেশি দুর্বল হয় আর ওই সময় চুলকে যত বেশি আছড়ানো যাবে চুলের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে আর সহজেই চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে আসতেছে আর তারপরেই শুরু হচ্ছে আপনাদের হতাশা অর্থাৎ চুল পড়ে যাওয়া।
  • চতুর্থত ; শহরে যারা বসবাস করেন তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে সোজা চল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে আর তার কারণে গোসল করার পরেই শুরু করেন হিটার বা আপনারা যেটাকে চুল সোজা করার যন্ত্র বলেন আর কি সেটা দিয়ে চুলের উপর শুরু করেন নির্যাতন আরে ভাই আল্লাহ যেমনটা দিছে তেমনি থাকতে দিন না সোজা করতে গিয়ে আপনার আমও যাবে আত্র সাথে ছালাও যাবে। মানে চুল চলে গেলে চুল সোজা করার যন্ত্র দিয়ে কি করবেন বলুন আশা করি যা বোঝাতে চেয়েছি বুঝতে পারছেন।
  • পঞ্চমত ; সিল্কের বালিশ কি ভাবছেন ? চুল ঘন করার সঙ্গে সিল্কের বালিসের আবার কী সম্পর্ক ? আসলে সুতির কাপড়গুলো অনেক আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে যার কারনে বালিশের কভার সুতির হলে তা চুলের আর্দ্রতা শুঁষে নিতে পারে। তাই বালিশে সিল্কের কাপড় ব্যবহার রাটাই ভালো। এতে বালিশের সাথে চুলের ঘর্ষণ টা কমে যাবে। এতে চুলের ডগাও কম ভাঙবে। আর চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাটাও অনেক কমে আসবে।

চুলের জন্য তেলের উপকারিতা

চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো চুলে সঠিকভাবে তেল ব্যবহার না করা আপনারা যদি আপনাদের চুল সুন্দর রাখতে চান তাহলে তেলের জুড়ী নেই। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে চুলে তেল দিয়ে মাথায় মাসাজ অবশ্যই করবেন। এটা আপনার মাথায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

যা চুলের বেড়ে ওঠার জন্য অনেক বেশি জরুরী এর ফলে আপনাদের চুল সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। আর হ্যাঁ গোসলের আগে চুলে তেল দেওয়া অনেক আগের নিয়ম হলেও এটা আসলেই অনেক কার্যকরী। কিন্তু চুলের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হলে আপন্ছেনাদেরকে বেছে নিতে হবে চুলের জন্য মানানসই ও উপকারি ব্যবহারযোগ্য তেল।

চলুন আপনাদের কিছু তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে দি ই তাহলে আপনাদের সুবিধা হবে যে আপনারা কোন তেলটি মাথায় ব্যবহার করবেন আবার একটু কষ্ট করে নিচের দিকে তাকান ;.

চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা

আমরা সবাই গ্রামে থাকি আর শহরে থাকি সরিষার তেল সম্পর্কে আমাদের সবারই ধারণা রয়েছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্রায় দিন গোসল করার আগে মাথায় সরিষার তেল দিতাম মা বলতো এতে নাকি চুল ঘন ও কালো হয় কথাটা খুব একটা মিথ্যা ছিল না ছোটবেলায় অনেক সুন্দর ছিল আমার চুল। কিন্তু যখন বড় হলাম আর একটু পাখনা গজালো তখন আস্তে আস্তে মাথায় তেল দেওয়া বন্ধ হয়ে গেল।

কারণ ওই যে মাথার ভেতর স্টাইল ব্যাপারটা তখন ঢুকে গেছে আর সেই কারণে মাথায় তেল দিতাম না যা না দেওয়ার কারণে আমার মাথায় চুল এখন অনেকটাই পাতলা। যাইহোক সরিষার তেল শুধুমাত্র রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় না এটা আমাদের মাথায় চুলের জন্য অনেক উপকারী এটা চুলের বিভিন্ন উপকারে এসে থাকে।

ব্যস্ততার এ শহরে কাজের চাপে কারো নিজের কথা ভাবার সময় নেই যার কারণে বাইরের ধুলাবালি দূষিত পানি এছাড়া রয়েছে অনেক রকমের রাসায়নিক পদার্থ যার কারণে প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই সুর হয়ে যায় রুক্ষ শুষ্ক আবার অনেকে চুলে তো জট বেঁধে যায়। তখন আমরা ভাবি যে কিভাবে চুলকে একটু্ সুন্দর ও মসৃণ করা জায় ।

এর সমাধান একমাত্র খাঁটি সরিষার তেলি দিতে পারে অর্থাৎ খাঁটি সরিষার তেল আমাদের মাথায় যদি নিয়ম করে কয়েকদিন পরপর ভালো করে মাসাজ করা যায়। তাহলে আমাদের মাথা থাকবে ঠান্ডা এবং যার কারণে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের চুল বেড়ে উঠতে আরো সাহায্য করবে।
  • সরিষার তেলে যে উপাদানগুলো রয়েছে যেমন জিংক, ক্যারোটি্‌ বিটা সেলেনিয়াম, যেগুলো চুল লম্বা হতে অনেক সাহায্য করে এছাড়াও সরিষার তেলে আরও একটু উপাদান রয়েছে যেটা হল অ্যান্টি ফাঙ্গাল যা চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এছাড়ং খুশকির কারণে যে চুলকানি হয় সেটা থেকেও মাথাকে রক্ষা করে।
  • সরিষার তেলের মধ্যে আলফা ও ফাটি এসিড নামক দুটি পদার্থ রয়েছে যা চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে।
  • সরিষার তেলের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের চুলের যে প্রধান অংশ ফলিকল কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • এছাড়া সরিষার তেল মাথায় কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মোতাবেক মাসাজ করলে এটি চুল লম্বা হতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
  • আপনাদের মধ্যে অনেকেরই চুল অনেক রুক্ষ হয়ে থাকে যা নিরামন করতে হলে মাথায় সরিষার তেল দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
  • সরিষার তেলের মধ্যে যে খনিজ ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে সেটা চুলকে পাকার হাত থেকে বাঁচায় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায় তাই নিঃসন্দেহে সরিষার তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান বা তেল।

শ্যাম্পু না করেও চুল পরিষ্কার রাখার উপায়

শহরে হোক বা গ্রামে কাজ করতে সবারই বাইরে যেতে হয় আর বাইরে গেলেই বুঝতে পারছেন ধুলাবালি ময়লা আবর্জনা আর করার রোদে সম্মুখীন হতে হয় যার কারণে সবারই চেহারা চুল এগুলার একদম বারোটা বেজে যায়। তাই কাজ থেকে সন্ধ্যায় ফিরুন আর রাতেই ফিরুন গোসল কিন্তু অবশ্যই করেন। এখন আসি প্রধান কথাতে, সারাদিন কাজ শেষে যখন বাসায় আসেন তখন আর মাথায় কিছু থাকে না মন চায় দুই তিনটা শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ভালোমতো দিয়ে একদম হালকা হয়ে যাই।

কিন্তু আপনারা কি জানেন, আপনাদের এই হালকা হওয়ার কারণে দিন দিন আপনাদের মাথার চুল কতটা হালকা হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার একটা সাজেশন থাকবে সেটা হলো, যত ক্লান্ত থাকুক না কেন একটু শান্তির জন্য একের দিক শ্যাম্পু মাথায় ব্যবহার করবেন না। আপনারা জেনে খুশি হবেন, মাথায় শ্যাম্পু না দিয়েও চুল পরিষ্কার রাখা যায় এবার আপনারা বলবেন কিভাবে ? তার জন্য আবার আপনাদের কষ্ট করে একটু নিচের দিকে তাকাতে হবে ;


আপনাদের একটা হাস্যকর কথা বলি আগের যুগের মানুষ নদীতে যাইতে গোসল করতে আর সেই নদীতে যে কাদামাটি থাকতো সেটা দিয়ে তারা নিজেদের মাথা পরিষ্কার করতো আর অবাক করার বিষয় কি জানেন তাদের যুগে কিন্তু চুল পড়ার প্রচলন এতোটা ছিল না আপনারা চেষ্টা করবেন না মানে আমি মাটি দিয়ে মাথা পরিষ্কার বলতেছি না আরেকটা সহজ উপায় বলে দিচ্ছি সেটা হলো ;

লেবু তো আপনারা সবাই চেনেন আপনারা কি জানেন লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড আমাদের চুলের গোড়ায় গোড়ায় জমে থাকা মনে পরিষ্কার করতে কতটা সাহায্যকারী একটি উপাদান আপনারা চাইলে কন্ডিশনারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে তুলে লাগিয়ে চিরুনি দিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটা আচড়ে নিয়ে পরে ধুয়ে ফেলতে পার্রে। দেখবেন আপনাদের মাথা একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে না মানে ময়লা পরিষ্কার হয়ে গেছে চুল থেকে যাবে চিন্তা করবেন না।

বিশেষ করে গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয় যার কারণে আপনাদের চুলের গোড়াতে খুব সহজেই ময়লা জমতে পারে আর সেই কারণে নিয়মিত চুল পরিষ্কার করাটা খুবি জরুরী। তাই আপনাদের কাছে সাজেশন থাকবে যে অন্তত সপ্তাহে দুইদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন কিন্তু অবশ্যই একটার থেকে বেশি না।

এর বেশি ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক তেল ভাব সেটা নষ্ট হতে পারে। আর সেটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বুঝতেই পারছেন কি হবে ? আপনারা যেহেতু সবাই বুদ্ধিমান তাই আপনাদের আমার বেশি বোঝানোর দরকার নেই বলে আমি মনে করি।

চুলের জন্য কোন কন্ডিশনার ভালো ?

অনেকেই আছেন যারা চুলে শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান না কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না যে, এটা একদমি ভালো অভ্যাস না। আপনারা যদি আপনাদের চুলকে ভালো রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন কন্ডিশনার ব্যবহার করাটা জরুরি।এটা ব্যবহার করতে হলে প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হলো ;

প্রথমে শ্যাম্পু করা শেষ হলে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সামান্য কন্ডিশনার হাতে নিয়ে চুলের মাঝখান থেকে লাগানো শুরু করে নিচের দিকে যেতে হবে। কন্ডিশনার লাগানোর পর কিছুক্ষণ রেখে তারপর চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।


বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন দামের কন্ডিশনের পাওয়া যায় কিন্তু ভাবার বিষয় হলো এটাই যে কোন কন্ডিশনের টা ভালো হবে আমাদের চুলের জন্য সে ক্ষেত্রে আপনি যদি জীবনে প্রথমবার কন্ডিশনের ব্যবহার করবেন বলে ভাবছেন তাহলে আমার জনমতে আমি আপনাদের এরকম দুটি কন্ডিশনের কথা বলব যা আপনার চুলের জন্য অনেক ভালো হবে যা আপনাদের চুল মসৃণ নরম ও সিল্কি করতে সাহায্য করবে যাই হোক বেশি প্যাচাল না পেরে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কন্ডিশনার দুটি ভালো হবে ;

আপনাদের যে কন্ডিশনার দুটির নাম বলব তার মধ্যে একটি হলো ট্রেসমে কেরাটিন স্মুথ উইথ অর্গান অয়েল। বাজারে যে কন্ডিশনার গুলো রয়েছে তার সবগুলোর মধ্যে এই কন্ডিশনারের মান টা  বেশ ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে। এটা ব্যবহার করলে আপনার চুল হয়ে যাবে সিল্কি নরম ও মসৃণ।

তো আমি আপনাদের একটা কথাই বলবো আপনারা অবশ্যই এই কন্ডিশনার টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন যদি আপনার এটা নিয়মিত ব্যবহার করেন কিন্তু অবশ্যই পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে হবে কারণ আপনারা জানেনই কোন কিছুই পরিমাণের অধিক ভালো নয় আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলেছি।

এবার বলবো আরও একটি ভালো কন্ডিশনারের সম্পর্ক অর্থাৎ দ্বিতীয় যে কন্ডিশনারের কথা আমি বলতে চাইলাম সেটা। এই কন্ডিশনারটির নাম হলো ডাভ ইন্টেন্স রিপেয়ার কন্ডিশনার। বাইরের যানজট ধুলাবালির কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই প্রায় চুলের অবস্থা একদম রুক্ষ হয়ে যায়।

যার কারণে আমাদের চুলের চকচকে ভাবে একদম নষ্ট হয়ে যায় আর সেই উজ্জ্বলতা ও চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য এই কন্ডিশনারটি অনেক ভালো একটি প্রোডাক্ট তাই আপনারা চাইলে অবশ্যই এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনাদের চুল হবে কোমল সফট তো আকর্ষণীয়।

কিভাবে চুল ঘন করা যায় ছেলেদের ?

চুল নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেক ছেলেরাই। বিশেষ করে গরমের সময়ে মাথা এতো পরিমানে ঘামে যে মাথার ওই তৈলাক্ত ত্বকের কারণে সমস্যা আরও অনেক গুন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত গরম , ও ঘামের কারণে চুলে ওপর বেশ প্রভাব পড়ে।


যেসব ছেলেদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা সমস্যা এড়াতে কিছু উপায় মেনে চলতে পারলে বা কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখলে ছেলেদের চুল ভালো রাখা সহজ হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ;-

  • চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন ; তৈলাক্ত মাথার চান্দি পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত চুল ধোঁয়া অনেক জরুরি। এক্ষেত্রে তৈলাক্ত চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি যেসব শ্যাম্পু রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু চুলে তেল তেলে যে ভাব রয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করে আর চুলে যদি তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায় তাহলে চুল ভালো রাখা সহজ হয়ে যাবে। চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় ধীরে ধীরে পরিষ্কার করবেন।

  • গরম পানি এড়িয়ে চলুন ; গরম পানি আপনার মাথার ত্বকের একদম বারোটা বাজিয়ে দিবে। মানে গরম পানি মাথায় থাকা সেবেসিয়াস গ্রন্থিগুলোকে জাগ্রত করতে পারে , এর ফলে তেল তেলে ভাব তৈরি করে চুলের গোঁড়ার একদম সর্বনাশ করে দেয়। তাই মাথায় অবশ্যই গরম পানি না ঢেলে তার পরিবর্তে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

  • মাথায় কম করে হাত দিন ; হাত দিয়ে মাথার ভেতরে বেশি বেশি আঙুল চালালে তেল এবং ময়লা স্থানান্তরিত হতে পারে, ফলে সমস্যা আরও বাড়বে। চুলে যদি ঘন ঘন আঙুল চালানোর অভ্যাস থাকে তাহলে এখন থেকেই তা বন্ধ করে দিন। এতে চুল ভালো রাখা আরও সহজ হবে।চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন তৈলাক্ত মাথা পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত চুল ধোয়া জরুরী।

  • গরম পানি দিয়ে মাথা ধোঁয়া যাবে না।
  • হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করলে ভালো হয়।
  • মাথার ভেতরে বা চুলের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে বেশি নারাচারা না করি।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • চুল অতিরিক্ত পরিষ্কার না করাই ভালো পরিমান মতো করুন।
ত্বক পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অতিরিক্ত ধোয়া আসলে তেল উৎপাদনকে বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি প্রাকৃতিক তেল দূর করে এবং তেল উৎপাদন বাড়াতে পারে। যা চুলের ক্ষতি করতে পারে।

লেখকের মন্তব্য ;-

চুল সবার জন্যই শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থা তাই সবাই চায় তার চুল যেন অনেক আকর্ষণীয় অনেক সুন্দর দেখা আর চুল সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার জন্য যে নিয়মগুলো পেয়েছো তাহলে সেগুলোই আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলাম আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে। ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে তথ্যগুলো শেয়ার করতে পার শেয়ার করতে পারেন আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url